ANM GNM 2025 Weekly Mock Test #32

A) কাছের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশী সংকুচিত হয়, সাসপেনসরি লিগামেন্ট শিথিল হয় এবং লেন্স অধিক উত্তল বা পুরু হয়।
B) মায়োপিয়া বা নিকটদৃষ্টি (Myopia/Nearsightedness) ত্রুটিতে অক্ষিগোলকের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণে বা লেন্সের প্রতিসরণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় দূরবর্তী বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হয়।
C) হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি (Hyperopia/Farsightedness) সংশোধনের জন্য অবতল লেন্স (Concave lens) যুক্ত চশমা ব্যবহার করা হয়।
D) প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia) বা চালশে হলো বয়সের সাথে সাথে লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পাওয়ার কারণে উপযোজন ক্ষমতা কমে যাওয়া, যার ফলে কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়।

A) রড কোষগুলি কম আলোতে (scotopic vision) বা রাতের দর্শনে সাহায্য করে এবং বর্ণ শনাক্ত করতে পারে না।
B) কোণ কোষগুলি উজ্জ্বল আলোতে (photopic vision) এবং বর্ণময় বস্তু দর্শনে (color vision) সাহায্য করে এবং এদের সংখ্যা রড কোষের চেয়ে অনেক বেশি।
C) পীতবিন্দু বা ম্যাকুলা লুটিয়া (Macula lutea) হলো রেটিনার একটি অংশ যেখানে কোণ কোষের ঘনত্ব সর্বাধিক এবং এখানে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
D) অন্ধবিন্দু বা ব্লাইন্ড স্পট (Blind spot) হলো রেটিনার সেই স্থান যেখান থেকে অপটিক স্নায়ু (Optic nerve) নির্গত হয় এবং এই স্থানে কোনো রড বা কোণ কোষ না থাকায় কোনো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না।

A) কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, লেন্স এবং ভিট্রিয়াস হিউমার হলো চোখের প্রধান প্রতিসরণকারী মাধ্যম।
B) লেন্সের বক্রতা সিলিয়ারি পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে, এই প্রক্রিয়াকে উপযোজন (Accommodation) বলে।
C) সুস্থ স্বাভাবিক চোখে দূরবর্তী বস্তু থেকে আগত সমান্তরাল আলোকরশ্মি রেটিনার পিছনে প্রতিবিম্ব গঠন করে।
D) রেটিনায় বস্তুর একটি সদ, অবশীর্ষ এবং ক্ষুদ্র প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

A) আবরণী কলা দেহের বাইরের পৃষ্ঠ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গ এবং গহ্বরের আবরণ তৈরি করে।
B) এই কলার কোষগুলি খুব ঘনভাবে সজ্জিত থাকে এবং আন্তঃকোষীয় স্থান (intercellular space) প্রায় থাকে না বললেই চলে।
C) আবরণী কলার প্রধান কাজ হলো সুরক্ষা, শোষণ, নিঃসরণ এবং সংবেদী অঙ্গ হিসেবে কাজ করা।
D) রক্ত একটি বিশেষ ধরনের আবরণী কলা।

A) ঐচ্ছিক পেশী (Voluntary muscle) বা কঙ্কাল পেশী (Skeletal muscle) প্রধানত অস্থির সাথে যুক্ত থাকে এবং আমাদের ইচ্ছানুযায়ী সংকুচিত হতে পারে।
B) অনৈচ্ছিক পেশী (Involuntary muscle) বা মসৃণ পেশী (Smooth muscle) হৃদপিণ্ডের প্রাচীরে পাওয়া যায়।
C) হৃদপেশী (Cardiac muscle) গঠনগতভাবে মসৃণ পেশীর মতো, কিন্তু কার্যকারিতায় ঐচ্ছিক।
D) সকল প্রকার পেশীকোষ সংকোচন ও প্রসারণশীল।

A) কলেরা (Cholera) ভিব্রিও কলেরি (Vibrio cholerae) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি জলবাহিত রোগ, যা তীব্র ডায়রিয়া ঘটায়।
B) যক্ষ্মা (Tuberculosis) মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি বায়ুবাহিত রোগ, যা শুধুমাত্র ত্বককে আক্রান্ত করে।
C) টাইফয়েড (Typhoid) জ্বর সালমোনেলা টাইফি (Salmonella Typhi) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এটি শুধুমাত্র বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায়।
D) ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ।

A) ম্যালেরিয়া (Malaria) প্লাসমোডিয়াম (Plasmodium) নামক এক প্রকার প্রোটোজোয়া পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে ছড়ায়।
B) অ্যামিবিয়াসিস (Amoebiasis) বা আমাশয় এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা (Entamoeba histolytica) নামক প্রোটোজোয়ার সংক্রমণে ঘটে এবং এটি শুধুমাত্র বায়ুবাহিত।
C) কালাজ্বর (Kala-azar) বা ভিসেরাল লিশম্যানিয়াসিস (Visceral Leishmaniasis) লিশম্যানিয়া ডনোভানি (Leishmania donovani) নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এটি বেলেমাছির (Sandfly) কামড়ে ছড়ায়।
D) পোলিওমাইলাইটিস (Poliomyelitis) একটি প্রোটোজোয়া ঘটিত রোগ।

A) সাধারণ সর্দি-কাশি (Common Cold) প্রধানত রাইনোভাইরাস (Rhinovirus) দ্বারা সৃষ্ট হয়।
B) ডেঙ্গু (Dengue) জ্বর ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এটি শুধুমাত্র সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়।
C) হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ যা যকৃৎকে (liver) আক্রান্ত করে।
D) টিটেনাস (Tetanus) বা ধনুষ্টংকার ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।

A) এদের দেহ প্রাচীরে অসংখ্য ছিদ্র (অস্টিয়া) থাকে, যার মাধ্যমে জল প্রবেশ করে।
B) এদের দেহে কোয়ানোসাইট (Choanocyte) বা কলার কোষ নামক বিশেষ ফ্ল্যাজেলাযুক্ত কোষ থাকে।
C) এদের দেহে সুনির্দিষ্ট কলা, অঙ্গ বা অঙ্গতন্ত্র গঠিত হয় না।
D) হাইড্রা (Hydra) পরিফেরা পর্বের একটি উদাহরণ।

A) এদের দেহে নিডোব্লাস্ট (Cnidoblast) বা নিডোসাইট (Cnidocyte) নামক বিশেষ দংশক কোষ (stinging cell) থাকে।
B) এদের দেহ ত্রিস্তরীয় (triploblastic)।
C) এদের দেহে একটিমাত্র গহ্বর (সিলেন্টেরন বা গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার ক্যাভিটি) থাকে যা পরিপাক ও সংবহনে সাহায্য করে।
D) কেঁচো (Earthworm) এই পর্বের অন্তর্ভুক্ত।

A) সকল খনিজই আকরিক, কিন্তু সকল আকরিক খনিজ নয়।
B) যে সকল খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের আকরিক বলে।
C) বক্সাইট (Bauxite) হলো অ্যালুমিনিয়ামের একটি প্রধান আকরিক।
D) সকল শিলাকেই খনিজ বলা হয়।

A) ধাতু সংকর হলো দুই বা ততোধিক ধাতু অথবা ধাতু ও অধাতুর একটি সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণ, যা ধাতব ধর্ম প্রদর্শন করে।
B) ইস্পাত (Steel) হলো লোহা ও কার্বনের একটি সংকর ধাতু, যেখানে কার্বনের পরিমাণ খুব কম থাকে 
C) কাঁসা (Bronze) হলো তামা ও দস্তার মিশ্রণ।
D) ডুরালুমিন (Duralumin) একটি হালকা ও শক্ত সংকর ধাতু, যার প্রধান উপাদান অ্যালুমিনিয়াম, এবং এর সাথে তামা, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ মেশানো থাকে।

A) কার্বন বিজারণ (Carbon reduction) পদ্ধতি অধিক সক্রিয় ধাতু (যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম) নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
B) তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) পদ্ধতি খুব সক্রিয় ধাতু (যেমন - অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম) তাদের গলিত লবণ বা অক্সাইড থেকে নিষ্কাশনের জন্য উপযুক্ত।
C) স্বতঃবিজারণ (Self-reduction) পদ্ধতিতে কম সক্রিয় ধাতুর (যেমন - কপার, লেড, মার্কারি) সালফাইড আকরিককে আংশিক জারিত করে প্রাপ্ত অক্সাইড ও অবশিষ্ট সালফাইডের বিক্রিয়ার মাধ্যমে ধাতু নিষ্কাশন করা হয়।
D) থার্মিট (Thermite) পদ্ধতিতে অ্যালুমিনিয়াম চূর্ণ দ্বারা কম সক্রিয় ধাতুর অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতু উৎপন্ন করা হয়।

A) অ্যালকেন হলো সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন, যেখানে কার্বন পরমাণুগুলি শুধুমাত্র এক-বন্ধন (single bond) দ্বারা যুক্ত থাকে।
B) অ্যালকেনের সাধারণ সংকেত হলো CₙH₂ₙ₊₂ (যেখানে n ≥ 1)।
C) মিথেন (CH₄) হলো সরলতম অ্যালকেন।
D) অ্যালকেনগুলি সাধারণত সংযোজন (addition) বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

A) মিথিলেটেড স্পিরিট হলো প্রধানত ইথাইল অ্যালকোহল (Ethanol), যার সাথে পানের অযোগ্য করার জন্য বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহল (Methanol) এবং কিছু রঞ্জক পদার্থ মেশানো হয়।
B) এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পানীয়।
C) এটি প্রধানত জ্বালানি হিসেবে (যেমন - স্পিরিট ল্যাম্পে), দ্রাবক হিসেবে (যেমন - বার্নিশ, রং) এবং পরিষ্কারক (cleaning agent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
D) মিথিলেটেড স্পিরিটের রাসায়নিক সংকেত CH₃OH।

1. অ্যাকুয়াস হিউমার (Aqueous humor) লেন্স ও কর্নিয়ার মধ্যবর্তী অ্যান্টেরিয়র ক্যাভিটিতে (Anterior cavity) থাকে এবং এটি কর্নিয়া ও লেন্সকে পুষ্টি যোগায়।

2. ভিট্রিয়াস হিউমার (Vitreous humor) লেন্সের পিছনে অবস্থিত পোস্টেরিয়র ক্যাভিটিতে (Posterior cavity) থাকে এবং এটি চোখের গোলাকার আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

3. অ্যাকুয়াস হিউমার ক্রমাগত উৎপন্ন হয় (সিলিয়ারি বডি দ্বারা) এবং শোষিত হয় (স্ক্লেরাল ভেনাস সাইনাস বা ক্যানাল অফ শ্লেমে)।

4. ভিট্রিয়াস হিউমার একটি জেলির মতো পদার্থ যা জন্মের পর আর প্রতিস্থাপিত হয় না।